যশোরের মণিরামপুরে মাদক অভিযানকালে গ্রামবাসির সঙ্গে সংঘর্ষে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই এএসআই (সহকারি-উপপরিদর্শক) ও এক সিপাইসহ এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আগরহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, ইয়াবাসহ আটক একজনকে ছাড়াতে একদল সন্ত্রাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
গ্রামবাসির দাবি, সাধারণ পোষাকধারি কয়েকজন গ্রামে আসলে তাদের পরিচয় জানতে চাওয়ায় কথাকাটাকাটির এক পর্যায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ্যাসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়াজ মাকদুম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অভিাযানে গাঁজাসহ আটক নজরুল ইসলামকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আহতরা হলেন- যশোর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এএসআই মামুন শাকি (৩৭), শরিফ মাহমুদ (৪৪) ও সিপাই তহিদুল ইসলাম (২০)। এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই গ্রামের মিনা গাজীর ছেলে শাহাজাহান আলী (১৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, যশোরের একটি টীম অভিযান চালিয়ে উপজেলার সুন্দলপুর গ্রাম হতে নজরুল ইসলামকে গাঁজাসহ আটক করে। পরে তার সহযোগী আগরহাটি গ্রামের রুস্তম আলীকে আটকের সময় স্থানীয়রা বাঁধা দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনের ওপর স্থানীয়রা হামলা চালায় বলে অভিযোগ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানকারি টিমের। এসময় গ্রামবাসির হামলায় তিনজন আহত হন। আহত তিনজন মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হুমায়ুন রশিদ ওই তিনজনের প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে একাধিক গ্রামবাসির দাবি, সাধারণ পোষাকধারি অপরিচিতি কয়েকজন লোক গ্রামে আসলে স্থানীয়রা তাদের পরিচয় জানতে চান। এ নিয়ে গ্রামবাসির সাথে কথাকাটাকাটি চলাকালে পাশে ইটভাটায় কাজ করতে থাকা এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহাজাহান আলীও ঘটনাস্থলে আসে। এক পর্যায় স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষে এই আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে যশোর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসলাম হোসেন জানান, নজরুল ইসলাম (৪২) নামের এক গাঁজা ব্যবসায়ীকে আটকের পর ইয়াবাসহ তার সহযোগী রুস্তম আলীকে আটকের একজন আটক হয়। এসময় দুই এসএসআই ও এক সিপাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে মাদককারবারিকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় অবহিত করলে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
এএস/এসআর