সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ হাজার ৪৪৪ জন ব্যক্তি ভাতা প্রত্যাশায় অনলাইনে আবেদন করেছেন। আবেদনের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তারা পাচ্ছেন না কাঙ্খিত ভাতা। এ নিয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ে এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তারা।
বুধবার সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার দারিদ্র্যপ্রবণ উপজেলা সাদুল্লাপুর। এ উপজেলায় বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীত ও প্রতিবন্ধী ভাতা কার্যক্রমের আওতায় শতভাগ ভাতা কাভারেজের জন্য নির্দেশ দেয় বিগত সরকার। এ আলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা বিভাগ এটি বাস্তবায়ন করতে ভাতা যোগ্যদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করে।
এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৪৪ জন ভাতা প্রত্যাশী অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে বয়স্ক তিন হাজার ২৮৮, বিধবা পাঁচ হাজার ৬৯১ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দুই হাজার ৫২৫ জনের ভাতার আবেদন রয়েছে। এছাড়া আরও হাজারো ভাতা যোগ্য ব্যক্তি আছেন তারা আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না।
উপজেলার বাসিন্দা ছকিনা, রাজেনা, মফেলা, আব্দুর রাজ্জাক, শাহানা বেওয়া। তারা কেউ কেউ করেছেন বয়স্ক-বিধবার আবেদন আবার কেউ করেছেন প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন। দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবা কার্যালয়ে এবং ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের নিকট ঘুরেও ভাতার আওতায় আসছেন না বলে তাদের অভিযোগ।
এছাড়া আরও অনেকে বলছেন, ভাতা যোগ্য হয়েও আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ বলেন, 'এ ইউনিয়নের প্রায় সহস্রাধিক ব্যক্তি ভাতা পেতে আবেদন করেছেন। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ না পাওয়ায় খুব বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছি।'
সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় বলেন, 'ইতোমধ্যে সাড়ে ৩৯ হাজার ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। আর প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। বরাদ্দ না থাকায় এই আবেদনকারীদের ভাতা প্রদান সম্ভব হচ্ছে।'
টিএইচ/এমএ