জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান বলেছেন, ‘আমরা এই পর্যায়ে (বয়স্ক) যারা অনেক কিছু দাবি করি। আমাদের দাবিতে উইথড্রো করতে হবে। ১৬ বছর বয়সে আমরা কিছু করতে পারি নাই। সামনেও সুযোগ নাই। যারা করেছে তাদেরকে করার সুযোগ করে দিতে হবে।’
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রংপুর নগরীর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘অনেক দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট তরুণ যুবক বয়সের। আমাদের আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। ইয়ুথ তারাই অনেক কিছু করেছে। অনেক কিছু করবে। আমাদের শিল্প, সাহিত্য, পড়াশুনা, নজরুল রবীন্দ্র নাথ তারা ইয়ুথদেরকে অনেক কিছু বলেছে। এটাই সত্য। এখন বয়স্কদের ছাড় দিতে হবে, ইয়ুথদের নেতৃত্বই মানতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলে সিভিল সার্ভিসের যখন জন্ম হয় তখনই ঢোকার বয়স ছিল ১৯। আজকে যারা ম্যাজিষ্ট্রেট দেখেন তাদের বয়স ছিল ১০। আর আমরা নানা আন্দোলন করে ৩২ এ নিয়ে গেছি। এখনও বলা হয় ৩৫ করা হোক। ১৯ বয়সে যদি কেউ ব্যারিষ্টার হতে পারে। তাহলে আমরা কেন এই বয়সে আড্ডা মারবো।’
মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘পুলিশকে ট্রমাটাইজেশন থেকে তুলি আনতে হবে। পুলিশকে মোরালি আপ করতে হবে। পুলিশকে সাহস দেয়ার জন্য আর্মি আনা হয়েছে। আর্মিকে সাহস দেয়ার জেন্য ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে। এভাবে আর কতদিন। মানুষকে স্বাভাবিক করতে হবে। এখন মানুষ স্বাভাবিকও হয়েছে। সমস্যা ছিল আছে থাকবে। এটাকে মিনিমাইজ করতে হবে। সমস্যা সমাধান করতে হবে। সমাধানের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো ডিস্ট্রিক্ট এডমিনেস্ট্রেশন।’
তিনি বলেন, ‘পীরগঞ্জে শুকনো জায়গায় মেরিন একাডেমি করা হয়েছে। এটা যদি ভালো ভাবে না চলে তাহলে অন্য কিছু করতে হবে। পীরগঞ্জে আমরা ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট করার পরিকল্পনা করেছি।’
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘রংপুর শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবী এখন এক নামে চেনে রংপুরকে। সেখানে শুয়ে আছেন জুলাই বিপ্লবের মহানায়ক শহীদ আবু সাঈদ।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর তিন-চার দিন সরকার ছিল না। কোনো বাহিনী ছিল না। তখন স্টুডেন্টরা চালিয়েছিল। আপনারা চালিয়েছিলেন। কিন্ত তখন সেই লেভেলের কোনো অপরাধ হয়নি। রাস্তায় ট্রাফিক ছিল না। কাজেই এগুলোকে মূল্যায়ন করতে হবে। এগুলোকে স্ট্রাকচারাল মর্যাদা দিতে হবে। ভবিষ্যতে যুবকরা নেতৃত্বে আসতেছে।’
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ কে এম আব্দুল্লাহ খান, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী প্রমুখ।
পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
এ সময় আট জেলার ডিসি, ইউএনওগণ উপস্থিত ছিলেন।
এলওয়াই/এমএ