জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা তিন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড দিয়েছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চারজনের মধ্যে তিনজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত করা হয়েছে রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও রুয়েটের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর সাহা, প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী ও রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের ডেটা প্রসেসর ও কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মহিদুল ইসলামকে।
এ ছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী ও রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক হারুন অর রশিদকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও জুলাই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ আছে। এ ছাড়া রুয়েটে নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
রুয়েটের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টে সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, নির্যাতন-সহিংসতায় সম্পৃক্ততা, আওয়ামী সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার অভিযোগও আছে এই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তবে ৫ আগস্ট পরবর্তীকালে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে তাঁদের গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বরখাস্ত হওয়া রুয়েট কর্মকর্তা নাঈম রহমান নিবিড় ও মহিদুল ইসলাম ৪ আগস্ট ধারালো অস্ত্রসহ রুয়েটের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া এবং বোমা হামলায় সংশ্লিষ্টতা দৃশ্যমান হয়েছে। আর শিক্ষক সিদ্ধার্থ শংকরকে জুলাইবিরোধী অবস্থান, আন্দোলনে আহত ও নিহতদের অবমাননার অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছিল। তাঁকে বরখাস্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন এবং প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্র দেন।’
এফএ/আরএন