পবিত্র আল-কুরআন সর্ব যুগের সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির দিশারী। এটি এমন এক ঐশী গ্রন্থ, যা আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য চূড়ান্ত নির্দেশনা হিসেবে নাজিল করেছেন। রমজান মাসেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কুরআনকে প্রথমবারের মতো একত্রে লাওহে মাহফুজ থেকে পৃথিবীর আসমানে অবতীর্ণ করেন।
পরবর্তীতে, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪০ বছর পূর্ণ করলে, রমজান মাসেই হেরা গুহায় তার প্রতি সূরা আল-আলাক-এর প্রথম কয়েকটি আয়াত নাজিল হয়। এরপর দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ধাপে ধাপে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সম্পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ করা হয়।
পবিত্র কুরআনের প্রথম অবতরণ রমজান মাসে হওয়ার কারণেই এই মাস অন্য সকল মাসের তুলনায় বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় মাস, যা ইসলামে অনন্য স্থান অধিকার করে। কুরআন মানুষের জন্য এমন একটি পরিপূর্ণ সংকলন, যেখানে কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিত সকল সমস্যার সমাধান বিদ্যমান। যত নতুন চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন, তার প্রকৃত সমাধান শুধুমাত্র কুরআনুল হাকিমের মাধ্যমেই সম্ভব।
এই মহাগ্রন্থ মানব সভ্যতার জন্য অপরিহার্য। অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি, চিকিৎসা বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, শিল্প ও বিজ্ঞানসহ যাবতীয় জ্ঞানের মৌলিক তত্ত্ব ও তথ্য ধারণ করে। ফলে কুরআনের পর আর কোনো আসমানী গ্রন্থ নাজিল হয়নি, হবেও না বরং এর প্রয়োজনীয়তাও নেই। পবিত্র আল-কুরআনই সর্বশেষ আসমানী কিতাব, আর হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
এমএ