সোমবার বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্য এবং "চির উন্নত মম শির"-এর সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা পরীক্ষার ফি ৪০২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, শেষবার বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষা ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন পরীক্ষার ফি ছিল এক হাজার টাকা, যা একেবারে বৃদ্ধি করে পাঁচ হাজার টাকা করা হয়। এই ফি দুটি ভিন্ন ভিন্ন ধাপে প্রদান করতে হবে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়, যেমন: ‘অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক ফি বাতিল চাই’, ‘অধিকার নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না’, ‘জুডিশিয়ারিতে নন-ক্যাডার চাই’, ‘বার কাউন্সিলের অযৌক্তিক ফি কমাতে হবে’, ‘বৈষম্যমুক্ত বার কাউন্সিল চাই’।
শিক্ষার্থীরা জানান, ইন্টিমেশন দেওয়ার পর প্রথমেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১০৮০ টাকা দিতে হয়। এরপর আবার পরীক্ষায় বসার জন্য ৪০২০ টাকা দিতে হয়। বিসিএসসহ অন্যান্য চাকরির ফি কমানো হয়েছে। আমাদের দোষটা কী? আমাদের দাবি, ৪০২০ টাকা থেকে কমিয়ে ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করুন। আমরা এই যৌক্তিক দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
মানববন্ধনে আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী তৈয়ব শাহনূর বলেন, “রাষ্ট্রযন্ত্রের এতগুলো সংস্কার চলমান থাকাকালীন এমন সময়ে সবার চোখের সামনে এরকম অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। দ্রুত ফি কমাতে হবে। আর জুডিশিয়ারিতে নন-ক্যাডার বিচার বিভাগের স্বাতন্ত্র্য এবং ক্ষমতায়নের জন্যই জরুরি।”
আরেক শিক্ষার্থী সানজিদা সাবা বলেন, “বার কাউন্সিলের ফি কমানো এবং জুডিশিয়ারিতে নন-ক্যাডার পদ যৌক্তিক দাবি। এগুলো নিয়ে টালবাহানা না করে দ্রুত মানতে হবে। এটা আমাদের অধিকার।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বার কাউন্সিল পূর্বের মতো বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় ৪০২০ টাকা ফি নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর থেকে ঢাকা সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।
এমএ/আরএন