কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া সমুদ্র সৈকত এলাকায় হ্যাচারিতে জন্ম নেওয়া ৩৫০টি কাছিম ছানা সারিবদ্ধভাবে সাগরের লোনা পানিতে নেমে গেছে।
সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া সমুদ্রসৈকত এলাকায় ৩৫০টি অলিভ রিডলি প্রজাতির কাছিমের ছানা অবমুক্ত করা হয়।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম)-এর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম।
তিনি বলেন, শাহপরীর দ্বীপে ৮ হাজার ৫০০ ডিম সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর মধ্যে কাছিমের ছানা অবমুক্ত করা হয়েছে ১ হাজার ৫০০টি। কক্সবাজারে ১২টি পয়েন্ট থেকে এবার ২৫ হাজার ৭০০ ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ২ হাজার কাছিম ছানা অবমুক্ত করা হয়েছে।
আব্দুল কাইয়ুম আরও বলেন, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম)-এর পরিচালনায় গত চার বছরে ৪০ হাজার ৪৫০টি ডিম সংগ্রহ করা হয়, যা থেকে ৮৫% বাচ্চা ফুটিয়ে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটিকে এক্স-সিটু সংরক্ষণ বলা হয়। এছাড়া গত তিন বছরে ১৩টি স্পটে ইন-সিট্যু পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দিকনির্দেশনায় নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) কাছিম সংরক্ষণে গত ২০ বছর ধরে কাজ করে আসছে।
আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সমুদ্রের ময়লা-আবর্জনা ও আগাছা পরিষ্কার এবং মাছের পোনা খাদক জেলিফিশ খেয়ে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনন্য ভূমিকা রাখে এই কাছিম।
সম্প্রতি নেকমের একটি জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩৪টি স্পটে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে, যা এক সময় ছিল ৫২টি। অর্থাৎ, সামুদ্রিক কাছিমের ডিমপাড়ার স্থানগুলো হুমকির মুখে রয়েছে। আসুন, পরিবেশবান্ধব কাছিম সংরক্ষণে এগিয়ে আসি।
এসইউ/আরএন