বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীর উদ্দিন বলেছেন, ‘ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশ কোনো সমস্যা বোধ করছে না। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা, প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় যাতে কোনো ঘাটতি না হয় এবং আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে যাতে যোগাযোগের কোনো ঘাটতি না পড়ে- সে ক্ষেত্রে আমরা সব ব্যবস্থা নিচ্ছি, আমি আশা করি ইনশাআল্লাহ, এটা আমরা উতরে যাবো।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা গত মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) বাতিল করেছে ভারত।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা (ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল) আমাদের ওপর হঠাৎ করে আরোপিত হয়েছে। সাথে সাথেই আমাদের সকল অংশীজন নিয়ে গতকাল আমি মিটিং করেছি। ইনশাআল্লাহ, এটাতে আমরা কোনো সমস্যা বোধ করছি না।’
কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে আপনার সঙ্গে শেয়ার করবো না। প্রতিযোগিতায় আমাদের যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেগুলো কিছু কাঠামোগত, কিছু খরচের দিক থেকে- সব জিনিস সমন্বয় করে আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবো। আমি এখানে কোনো সমস্যা দেখছি না।’
এটা নিয়ে আপনারা ভারতকে কোনো চিঠি দেবেন কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে বিবেচনা করছি না।’
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধায় কী পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়- জানতে চাইলে শেখ বশীর উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টনের মতো ম্যাটেরিয়াল সড়কপথে ভারতের বিভিন্ন বন্দর বিশেষ করে দিল্লি, কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হতো। আমরা আশা করি এই ম্যাটেরিয়ালগুলো বহনের জন্য নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান করবো ইনশাআল্লাহ। সাধারণত ইউরোপীয় দেশগুলোতে পণ্যগুলো যেত।’
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিতের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভেরি গুড। আমাদের বাণিজ্যের মধ্যে স্থিরতা দেখা দেবে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে অনলাইনে। আমরা আমাদের কর্ম সমষ্টিগুলো নিয়ে কাজ করছি। যখন সম্ভব আমরা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে নিজেরাও যাবো, গিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরবো।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘স্থগিতাদেশ তো সাময়িক সময়ের জন্য। এ বিষয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদে করণীয় আছে, তাদের আকাঙ্ক্ষা তো শেষ হয়ে যায়নি। সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে কতটুকু করতে পারবো- সেই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করছি এবং সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’
তিনি বলেন, ‘মূল আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে সমন্বয় করা। আমরা সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কাজ করছি।’
এমএ