গরমের দিনে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে ডাবের পানি খুবই উপকারী। আবার ডাবের পানি কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। তবে শুধু ওষধি গুণই নয় ত্বক পরিচর্যায়ও ডাবের পানি বেশ কার্যকর। বিশেষ করে 'সানবার্ন' থেকে বাঁচতে ডাবের পানির কোনো তুলনা হয় না।
শুনতে অবাক লাগছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটিই সত্যি, ডাবের পানি 'সানবার্ন' থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে না। কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি দীর্ঘ সময় ত্বকে ঢুকলে তা থেকে ‘সানবার্ন’ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর এতে ত্বক যেমন জ্বালা করে, তেমনই ব্রণ- র্যাশে ভরে যায়। এমনকি ত্বকের মেলানিন রঞ্জকেরও তারতম্য হতে পারে। তাই সানবার্ন যাতে না হয়, এর জন্য দামি প্রসাধনী ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। ডাবের পানিই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ডাবের পানি কেন ত্বকের জন্য উপকারী, সেটা জেনে নেওয়া যাক-
ডাবের পানিতে থাকে সাইটোকাইন নামে এক রকম যৌগ, যা অকাল বার্ধক্য রোধ করতে পারে। ত্বকে বলিরেখা পড়া আটকাতে পারে। তাছাড়া ডাবের পানি অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে পারে। যেকোনো সংক্রমণ থেকেও ত্বককে বাঁচাতে পারে। আর কোলাজেন তৈরিতেও বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে ডাবের পানি। মুখে মাখলে ত্বকের মৃতকোষ দূর হবে, রোদে পোড়া জ্বালাও কমবে। ত্বকের কালচে দাগ ছোপ উঠে যাবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন-
ফেস মাস্ক
ত্বক খুব শুষ্ক হলে পেঁপে বাটার সঙ্গে ডাবের পানি ও মধু মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। এভাবে সপ্তাহে তিন দিন এই মাস্ক মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে সামান্য গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। তা হলেই ত্বক নরম ও মসৃণ থাকবে।
এছাড়া, ত্বক খুব তৈলাক্ত হলে ডাবের পানির সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন। সপ্তাহে তিন দিন এই মাস্ক ব্যবহার করলেই অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব চলে যাবে। ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যাও কমবে।
স্ক্রাবিং
ফেস স্ক্রাব করার জন্য বাইরে থেকে স্ক্রাবিং মাস্ক কিনতে হবে না। বাড়িতেই এক কাপ ডাবের পানির সঙ্গে দুই চামচ চিনি বা কফি পাউডার মিশিয়ে মুখে মালিশ করুন। এতে ত্বকের মৃতকোষ, ধুলোময়লা উঠে যাবে। তার পর মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে।
ফেশিয়াল টোনার
ডাবের পানির সঙ্গে গ্রিন টি মিশিয়ে নিয়ে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। রোদে বেরোনোর আগে মুখ পরিষ্কার করে এই টোনার লাগিয়ে নিলে ত্বকে কালচে ছোপ পড়বে না।
এমএ