নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত লোমহর্ষক সাত খুনের আসামিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবী ও নিহতদের স্বজনরা। রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় মানববন্ধনে অংশ নেন দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের আইনজীবীরা। এসময় সংহতি জানিয়ে নিহতদের স্বজন ও ছাত্র জনতা মানববন্ধনে অংশ নেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন ৭ খুনে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি, বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আইনজীবী সরকার হুমায়ন কবিরসহ আরও অনেকে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী আইনজীবী ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, “১১ বছর পার হয়ে গেছে, অথচ এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলাটি নিস্পত্তি হয়নি, খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ও বিচার বিভাগের কাছে আবেদন, দ্রুত মামলাটি নিস্পত্তির মাধ্যমে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হোক।"
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে অপহরণ করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে। অপহরণের পর তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ৩০ এপ্রিল বন্দরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে একে একে ভেসে উঠে তাদের পেট কাটা, ২৪টি ইট বাঁধা মরদেহ।
২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১ এর তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ, অপর দুই কর্মকর্তা মেজর আরিফ, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রানা সহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। ২০১৮ সালের আগস্টে হাইকোর্ট ১৫ আসামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে বাকীদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের পর আসামীরা আপিল করলেও তা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
এসএস/আরএন