যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। টানা ৪৮ ঘণ্টার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরপরই ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশ তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়।
তবে ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। অন্যদিকে পাকিস্তান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির “বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”। একই সঙ্গে পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ তুলেছে।
রোববার (১১ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, রোববার ভোরে এক বিবৃতিতে পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে তারা “পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ”। এর আগেই ভারত, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পাল্টা হামলার কথা জানায়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধেও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে এবং জানায়, পাকিস্তানি বাহিনী দায়িত্বশীল ও সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যুদ্ধবিরতির সফল বাস্তবায়নে যেকোনো জটিলতা সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। একই সঙ্গে সীমান্তে অবস্থানরত সৈন্যদের সংযম প্রদর্শন করাও জরুরি।”
এর আগে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত জুড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে ভারত।
গভীর রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এর তীব্র নিন্দা জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি দাবি করেন, যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান “আবার গোলাগুলি” শুরু করেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর জন্য “সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তান” দায়ী।
তিনি আরও জানান, ভারতীয় সেনাবাহিনীও এর উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে এবং পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভারত আশা করে, পাকিস্তান পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে অবিলম্বে চুক্তিভঙ্গ বন্ধ করবে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরএন