কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি ও প্রশাসনিক দায়িত্বে গুরুতর অবহেলার অভিযোগে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র এস. এম. রবীন হোসেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়াকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে গত ২০ এপ্রিল কালীগঞ্জ পৌরসভায় একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে মেয়রের কার্যকালীন সময়ের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন, প্রকল্প, বাজেট ও আয়-ব্যয়ের হিসাব সংক্রান্ত নথিপত্র সাত কার্যদিবসের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে মুঠোফোনে চিঠির তথ্য জানিয়েছেন কালীগঞ্জ পৌরসভার পৌর নির্বাহী অফিসার (পিএনও) শ্যামল কুমার দত্ত।
অভিযোগ অনুযায়ী, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ট্রেড লাইসেন্স, হাট-বাজার ইজারা, হোল্ডিং ট্যাক্স, ভূমি উন্নয়ন কর, জন্ম ও নাগরিক সনদ ইস্যু, পৌরসভার বাজেট, ক্রয়সংক্রান্ত নথি, প্রকল্প তালিকা, টেন্ডার ডকুমেন্ট, ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট ও ক্যাশবইসহ প্রয়োজনীয় সব রেকর্ড জমা দিতে হবে।
পিএনও শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, 'দুদকের অনুরোধ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা জমা দেওয়া হবে।'
দুদক কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, 'প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। তা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ধাপের অনুসন্ধান পরিচালিত হবে।'
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হন এস. এম. রবীন হোসেন। ১৬ জুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ৩ বছর ২ মাস ১ দিন মেয়র পদে ছিলেন। ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট সরকারি ভাবে তাকে অপসারণ করা হয়।
আরএস/এমএ