মৌসুমের শুরুতেই অপরিপক্ক লিচুতে সয়লাব হয়ে গেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাজার। তবে দামও চড়া বলে জানান ক্রেতারা। এমন অপরিপক্ক লিচু দিরাই বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাজারের প্রতিটি ফলের দোকানে শোভা পাচ্ছে মৌসুমী অন্যান্য ফলের পাশাপাশি লিচুও।
গত ১৫ দিন ধরে এসব অপরিপক্ক লিচু বাজারে এসেছে বলে দাবি ব্যবসায়িদের। তারা জানান, অধিক মুনাফা লাভের আশায় গাছ মালিকরা ফল পরিপক্ব হওয়ার আগেই বাজারে ছেড়ে দেন। আর ক্রেতারা মৌসুমী ফলের স্বাদ নিতে বেশি মূল্যে কিনে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেটের কানাইঘাট ও ময়মনসিংহ থেকে মৌসুমী ফলের রসে ভরা লিচু পরিপক্ব হওয়ার আগেই অধিক মুনাফার লোভে গাছ মালিক ও অসাধু ব্যবসায়িরা দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন এসব অপরিপক্ক লিচু। প্রতিটি লিচুর আঁটিতে ৪০-৫০টি থাকে। এর দাম লিচু ভেদে ছোট ও অপরিপক্ক ১৫০-২০০ টাকা আর মাঝারি ধরনের ২০০-২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
একাধিক ক্রেতা জানিয়েছেন, মৌসুমী ফল হিসেবে সন্তানদের মুখে তুলে দিতেই এসব অপরিপক্ক ফল খাওয়াচ্ছি।
আর ব্যবসায়িরা জানান, মৌসুম শুরুর আগেই গাছ মালিক ও অসাধু ব্যবসায়িরা অধিক মুনাফার লোভে অসময়ে বাজারে ফল বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা লুটে নিচ্ছে।
ক্রেতাদের দাবি, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলে অসাধু ব্যবসায়িরা এসব অপরিপক্ক লিচু বাজারে বিক্রি করতে পারতো না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জীব সরকার জানান, বাজারে অপরিপক্ক লিচু আসছে, তা আমার জানা নেই। আমরা বাজার মনিটর করে দেখবো, যাতে ব্যবসায়িরা পরিপক্ক লিচুসহ সকল প্রকার মৌসুমী ফল বাজারে বিক্রি করেন। পাশাপাশি তিনি সাধারণ জনগণকেও সচেতন হতে পরামর্শ দেন।
এবি/এমএ